সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের খোঁজ চেয়ে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টারিং হয়েছে। এমন পোস্টারে সয়লাব হয়েছে হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েত এলাকা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, বসিরহাটের এই সংসদ সদস্যের নামে গতকাল সোমবার (১৬ মে) লাগানো হয়েছে নিখোঁজ পোস্টার।

নুসরাত জাহান। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাসীনদের দ্বন্দ্বের জেরেই এই ধরনের পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতারা। দেগঙ্গা ব্লকের হাড়োয়া বিধানসভার চাপাতলা পঞ্চায়েতটি বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত।

সোমবার এই পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা এবং চাপাতলা এলাকায় অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের নামে ‘নিখোঁজ’ এবং ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার দেখা যায়। কোনো পোস্টারের নিচে লেখা সাধারণ জনগণ, আবার কোনোটায় লেখা প্রতারিত জনগণ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

নুসরাত জাহান। ছবি: সংগৃহীত

তৃণমূলের একাংশের দাবি, ঘটনাটি নুসরাতের উপর এলাকাবাসীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই প্রসঙ্গে দেগঙ্গার চাপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, গত ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বসিরহাটের সংসদ সদস্য ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। এলাকার উন্নয়নসহ সব কাজে সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের কর্মীরা তাকে কাছে পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল সংসদ সদস্যকে পাওয়াই যায় না। সম্ভবত সেই কারণেই এলাকার মানুষ এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে।

নুসরাত জাহান। ছবি: সংগৃহীত

তবে বিষয়টি জানার পরেই দলের কর্মীদের দিয়ে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয় বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে নুসরাতের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের দাবি, এটা বিরোধীদের কাজ। কোনো ইস্যু না থাকার কারণেই বিরোধীরা এই ধরনের কুৎসা রটাচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নে নুসরাতের ভূমিকা রয়েছে। স্থানীয় নেতাদের সাথেও তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তৃণমূলের চাপাতলা অঞ্চলের সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। যারাই কাজটি করুক না কেন, অন্যায় কাজ হয়েছে।

এদিকে, তারকা সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ বসিরহাটের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূলের একাংশও। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের একাংশের অভিযোগ, তিনি ধূমকেতু। বসিরহাটে শুধু প্রচার করতে আসেন। করোনাকালে বসিরহাটে তাকে দেখা যায়নি। গত বছর আমফানের সময়ও মানুষ তাকে পাশে পায়নি। তবে এ নিয়ে এখনও অভিনেত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।